করোনা মহামারি মোকাবেলায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরাকে (আইসিসিবি) অস্থায়ী হাসপাতালে পরিণত করার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। হাসপাতালের অবকাঠামো স্থাপনের মূল কাজ শেষে এখন আনুষঙ্গিক কাজ চলছে। চলতি মাসেই কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে আইসিসিবি ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। কাজ শেষ হলে এটিই হবে করোনা চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। গতকাল শনিবার সকালে নির্মাণাধীন হাসপাতাল চত্বরে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার কর্মকর্তারা কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন। এ সময় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম বলেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরুর পর ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে সব ধরনের সরঞ্জাম চলে এসেছে। এখন শুধু সেট করব। এই মাসের মধ্যে হাসপাতালটি চালু করার যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, আমরা সেই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই আছি। বাকি সব সুবিধা পেলে আর হাসপাতাল চালাতে অসুবিধা হবে না। এক হাজার ২০০ বেড এখানে চলে এসেছে। বাকি ৮০০ বেডও চলে আসবে।’ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার পর্যন্ত ৭৫০ বেড বসানো হয়েছে। আশা করছি, আজকের মধ্যে আরো ৫০০ বেড বসানো হয়ে যাবে। দুই হাজার ১৩ বেডের হাসপাতাল বাস্তবায়নের পথে। বেড চালু রাখার জন্য সাপোর্টিং সরঞ্জামগুলোও একই সঙ্গে স্থাপন করা হচ্ছে। বেড বসানো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের কাজও শেষ হবে বলে আশা করছি। আমরা ২৭-২৮ এপ্রিল কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই পরিশ্রম করছি। সেভাবেই কাজ চলছে।’ সরেজমিনে হাসপাতালের বিভিন্ন অংশে ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতাল স্থাপনের মূল অবকাঠামো স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। রোগীদের শয্যা, চিকিৎসক ও সেবিকাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। রোগীদের জন্য মানসম্মত টয়লেট, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপনের কাজও প্রায় শেষ। দুই হাজার ১৩ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতালের প্রায় অর্ধেক শয্যা এরই মধ্যে বসানো হয়েছে। বাকি শয্যাগুলো বসানোর কাজ দু-এক দিনের মধ্যেই শেষ হবে। আর প্রয়োজন দেখা দিলে এই অস্থায়ী হাসপাতালকে পাঁচ হাজার শয্যায় উন্নীত করার সুযোগ রাখা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের বিপদে এগিয়ে আসে বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপনের প্রস্তাব দেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল আইসিসিবি পরিদর্শন করে। পরে এখানে অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আইসিসিবির সুবিশাল চারটি কনভেনশন হল ও একটি এক্সপো জোনে দেশের অন্যতম বৃহৎ হাসপাতাল স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। যত দিন এই মহামারি থাকবে এবং সরকারের যত দিন ব্যবহারের প্রয়োজন হবে তত দিন আইসিসিবি ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী ২৯ হাজার পরিবার
Bashundhara Foundation’s Interest-Free Loans Empower 29,000 Families to Become Self-Reliant
দুর্গাপুরে এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করল বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Educational Materials Among Orphans and Underprivileged Students in Durgapur
বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ৬০ নারীকে সেলাই মেশিন বিতরণ
60 Underprivileged Women Receive Sewing Machines in Bancharampur through Bashundhara Shuvosangho
নারায়ণগঞ্জে অসহায় বিধবা রামরতি রবিদাসের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Supports Struggling Widow Ramrati Rabidas in Narayanganj
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে পাবনায় ১০০ নারী পেলেন সেলাই মেশিন
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী হাজারো পরিবার