মানিকগঞ্জ জেলা শহর থেকে দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী, বাচামারা ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন তিনটি প্রায় ৪০ কিলোমিটর দূরে। যমুনা নদীর ভাঙন আর প্রায় প্রতিবছর বন্যার কারণে এই তিনটি ইউনিয়নের ৯০ শতাংশ মানুষেরই বসবাস দারিদ্র্যসীমার নিচে। এবারের বন্যায় আরেক দফা দুর্ভোগে পড়েছে তারা। এই তিন ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত চার হাজার পরিবারের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ।
একই দিনে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এক হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব মোর্শেদ হাসান রুনুর তত্ত্বাবধানে গতকাল মানিকগঞ্জের চরাঞ্চলে তিনটি পয়েন্টে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, চিঁড়া, গুড় ও চিনি। তিনটি ইউনিয়নের চার হাজার পরিবারের মধ্যে প্রতিটি পরিবারকে প্রায় ১৫ কেজি করে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়।
ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন এলাকার সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এ ছাড়া ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য আমিনুল ইসলাম মট্টু এবং ওই তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
ত্রাণ বিতরণ শেষে মাহবুব মোর্শেদ হাসান রুনু বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপের স্লোগান ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’। কেবল কথায় নয় কাজেও আমরা তা প্রমাণ করেছি।
একটি দায়বদ্ধতা থেকে বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময় দেশের মানুষের পাশে থাকছে। এটা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের চিন্তার ফসল।”
সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় বসুন্ধরা গ্রুপ ও এর চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতা এই প্রথম নয়, সব সময় তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। তাদের সহযোগিতায় এলাকার দুস্থদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হলো।’
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এক হাজার পরিবারের মধ্যে গতকাল দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয় পৌর এলাকার বাহিরগোলা মহল্লায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ কামরুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
ত্রাণসামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দফা বন্যায় সিরাজগঞ্জ জেলার লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বন্যাদুর্গত মানুষের কথা ভেবে বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।’ বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো বানভাসি মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালে এ দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব।’
‘যাঁরা আমাদের এ সহায়তা করেছেন, আল্লাহ তাঁদের ভালো রাখুক’ : ত্রাণ নিতে আসা ছোনগাছা গ্রামের বৃদ্ধা আকলিমা বেগম বলেন, ‘গত দুই দফা বন্যায় ঘরের মধ্যে রাখা সব খাবারই প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায় অবস্থা চলছে বেশ কয়েক দিন। এরই মধ্যে ঈদের আগে এই ত্রাণ পেয়ে অন্তত দুটো দিন তো ভালো চলবে। যাঁরা আমাদের এ সহায়তা করেছেন, আল্লাহ তাঁদের ভালো রাখুক।’
ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন কিংব্র্যান্ড সিমেন্টের সিরাজগঞ্জ টেরিটোরি সেলস এক্সিকিউটিভ অঞ্জন কুমার চৌধুরী, উল্লাপাড়া টেরিটোরি সেলস এক্সিকিউটিভ মন্টু মিয়া, বেলকুচি টেরিটোরি এক্সিকিউটিভ মিজানুর রহমান, বসুন্ধরা সিমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেলস এক্সিকিউটিভ আব্দুল মমিন, উপসহকারী প্রকৌশলী সোহানুর রহমান, কিংব্র্যান্ড সিমেন্টের পরিবেশক মানিক আহম্মেদ, বসুন্ধরা সিমেন্টের পরিবেশক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। ওই সময় সদর, পৌরসভা, খোকশাবাড়ী ও ছোনগাছা ইউনিয়নের এক হাজার বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে চাল, ময়দা, চিঁড়া, গুড়, লবণ, ওষুধ, স্যালাইন ও দিয়াশলাই বিতরণ করা হয়।
SOURCE : কালের কণ্ঠবসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী ২৯ হাজার পরিবার
Bashundhara Foundation’s Interest-Free Loans Empower 29,000 Families to Become Self-Reliant
দুর্গাপুরে এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করল বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Educational Materials Among Orphans and Underprivileged Students in Durgapur
বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ৬০ নারীকে সেলাই মেশিন বিতরণ
60 Underprivileged Women Receive Sewing Machines in Bancharampur through Bashundhara Shuvosangho
নারায়ণগঞ্জে অসহায় বিধবা রামরতি রবিদাসের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Supports Struggling Widow Ramrati Rabidas in Narayanganj
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে পাবনায় ১০০ নারী পেলেন সেলাই মেশিন
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী হাজারো পরিবার