মুনিয়া হত্যা মামলায় আজ পিবিআই রিপোর্ট প্রদান করেছে। ঢাকা মুখ্য নগর আদালতে এ রিপোর্ট প্রদান করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মুনিয়ার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে তার বোন নুসরাত তানিয়া যে মামলা করেছিল, সেই মামলাটির কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি। মোসারাত জাহান মুনিয়া আসলে আত্মহত্যা করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে পিবিআই মামলা বাতিল করার জন্য সিএমএম আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরা এই প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেছেন। পিবিআইয়ের পক্ষে থেকে আবেদনটি করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আসরাফ উদ্দিন।
উল্লেখ্য, গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গত ২৮ এপ্রিল রাতে মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি হয়রানিমূলক অসত্য মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় গুলশান থানার পুলিশ তদন্ত করে এবং তদন্ত করে আত্মহত্যার প্ররোচনার কোনো আলামত পায়নি মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এমনকি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায় যে, মুনিয়া আসলে আত্মহত্যা করে।
গত বছরের জুলাই মাসে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। কিন্তু এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিরুদ্ধে মুনিয়ার বোন নুসরাত তানিয়া একটি নারাজি দরখাস্ত দেন। সে নারাজি দরখাস্তটিও বাতিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর গত সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় দফা হয়রানিমূলক মামলা করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ আরও ৮ জনের বিরুদ্ধে এবং এই মামলায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজনকেও জড়ানোর চেষ্টা করা হয়। যাদের এই ঘটনার সাথে কোনো সম্পর্কই ছিল না। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি গ্রহণ করে আদালত এটির তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে প্রদান করে। পিবিআই দীর্ঘ তদন্ত শেষে আজ তার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলেছে যে, সেখানে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। মুনিয়া আত্মহত্যাই করেছে। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, হত্যাকাণ্ডের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, এটি আত্মহত্যা। এমনকি আত্মহত্যা করার ক্ষেত্রে কারও দ্বারা প্ররোচিত হয়েছে বলেও তদন্তে পায়নি পিবিআই।
পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রথম মামলায় গুলশান থানা যে তদন্ত করেছে সেই তদন্তেই প্রমাণিত হয়েছে এটি আত্মহত্যার প্ররোচণা নয় এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় ওই তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, হত্যাকাণ্ড প্রমাণের মতো কোনো তথ্য-উপাত্তই বাদী উপস্থাপন করতে পারেনি। বরং এই মামলাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হয়রানিমূলক এবং এক ধরনের চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবেই করা হয়েছে বলে পিবিআই তার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। এর ফলে এই মামলাটি আর চলবে না মর্মে চড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় আবারও প্রমাণিত হলো নুসরাতের করা ‘মুনিয়া হত্যা মামলা’ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিনবসুন্ধরা গ্রুপের শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছে জাবির ১১৬ জন শিক্ষার্থী
Bashundhara Group Supports 116 JU Students with Scholarships
কসবায় বসুন্ধরার সহায়তায় চক্ষু চিকিৎসা পেল ৫০০ রোগী
500 Patients Receive Eye Treatment in Kasba with Bashundhara Group’s Support
৬০ জন দরিদ্র মহিলাকে সেলাই মেশিন দান করলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Donates Sewing Machines to 60 Poor Women in Bancharampur
বসুন্ধরা গ্রুপ বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখছে
Bashundhara Group Keeps Underprivileged Students' Dreams Alive
শায়েস্তাগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributed Food Items Among Underprivileged People in Shayestaganj